Wednesday, 25 May 2016
Monday, 9 May 2016
Thursday, 31 March 2016
Sunday, 13 March 2016
Monday, 29 February 2016
বাসার সন্ধানে
ফ্ল্যাটের চাবি আপনার হাতে
...........................................................................
মাথার উপরে ছাদ তো বটেই । আবার দীর্ঘ মেয়াদি লগ্নির জন্য আদর্শ জায়গা হল রিয়েল ষ্টেট বা আবাসন শিল্প । কারো থাকার জায়গা নেই তিনি একটি ফ্ল্যাট কিনে অতি সহজে সমস্যা সমাধান করে ফেলতে পারেন । লগ্নি হিসাবে ফ্ল্যাট অপেক্ষা কৃত কম ঝুকি পূর্ণ তবে লাভ পেতে সময় লাগে । তবে লাভ হয় লগ্নি কৃত অঙ্কের বহুগুণ বেশি । সময় বদলেছে । আগে বুড়ো না হলে যেন বাড়ি কেনার কথা ভাবতেই পারতেন না কেউ । কর্মজীবনের একেবারে শেষ প্রান্তে পৌঁছে বাড়ি তৈরি কাজে হাত দেওয়ার সাহস পেতেন তারা । অনেকে আবার নামতেন অবসরের টাকা হাতে পাওয়ার পর । সারা জীবনের কষ্টের সঞ্চয় মাথার উপর ছাদ দাড় করাতে করাতেই শেষ হয়ে যেত । আর এখন ? কাজের জগতে প্রবেশের কয়েক বছরের মধ্যে ফ্ল্যাট বা বাড়ি কিনতে নেমে পড়েছে নতুন প্রজন্ম । আবার যাদের ক্ষমতা আছে তারা একখানা কিনেই ক্ষান্ত হচ্ছেন না । সময়ের সাথে সাথে বেতন বাড়লে দু কামরার ফ্ল্যাট ছেড়ে যাচ্ছেন তিন কামরায় । কেউ কিনছেন বাংলো । আবার অনেকে লগ্নী ফ্ল্যাট বা বাড়িতে টাকা ঢালছেন । প্রাথমিক লগ্নির পরিমাণ বড়সর ঠিকই । তবে সেটা অন্তরায় হয় না কারন বাঙ্কের ঋণ পাওয়া সহজ হয়ে গিয়েছে । বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায় । দীর্ঘ মেয়াদি মাসিক কিস্তি তে তা শোধ করা যায় । আবার ওদিকে বাঙ্কের সুদের উপর মেলে আয়কর ছাড় । শর্ত সাপেক্ষ বাৎসরিক ধার শোধ বাবদ ছাড় পাওয়া যায় ৮০সি ধারায় । আসল শোধের জন্য বছরে সর্বাধিক এক লক্ষ টাকা ছাড় মিলতে পারে । কর ছাড়ের সুবিধা মেলে সুদ শোধের ক্ষেত্রেও । ধারা ২৪ অনুযায়ী সুদ বাবদ বছরে সর্বাধিক দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের সুবিধা মিলতে পারে ।
তবে আসল বা সুদ উভয় ক্ষেত্রেই কর ছাড়ের সুবিধা পেতে কিছু শর্ত পুড়ন করতে হয় । তাই গৃহ ঋণ নেওয়ার সময় যাবতীয় শর্ত গুলি খুঁটিয়ে দেখা জরুরী । তাড়াতারি বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার অনেক সুবিধা ।
যারা ভাড়া বাড়িতে থাকেন ,তারা প্রতি মাসে মোটা টাকা ভাড়া দেওয়ার বদলে তা দিয়ে মাসিক কিস্তি মেটাতে পারেন । তার মাথার উপর ছাদ ও জুটল আবার নিজের নামে সম্পদ তৈরি হল । তাছাড়া সন্তান সন্ততি দের জন্যও আলাদা ফ্ল্যাট কিনে রাখছেন বাবা মায়েরা । লগ্নি জায়গা হিসাবে বাড়ি বা ফ্ল্যাট লাভজনক । পরে দাম বাড়লে সময় সুযোগ বুঝে বিক্রি করে দেওয়া যায় । আবার বিক্রি করার আগে পর্যন্ত সেখান থেকে ভাড়া মিলবে যা ই এম আই এর ভার অনেকখানি লাঘব করে দেবে ।
তবে বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনে গেলে অনেক আগে থেকে সঠিক পরিকল্পনা জরুরী । বহু বিষয় খুঁটিয়ে দেখা দরকার । না হলে পরে ঠকতে হবে । কারন বাড়ি ফ্ল্যাট দুপাঁচ দিনের জন্য কেনা হয় না । প্রাথমিক ভাবে তা কেনা হয় সারা জীবনের জন্য । এবং তাও বিপুল টাকা ঢেলে । মোবাইল এর মতো যখন ইচ্ছে বদলানোর সুযোগ নেই । তাই সম্পত্তি তে মোটা টাকা ঢালার আগে অনেক বিষয় দেখে নেওয়া জ্রুরি । বসবাসের সুবিধা দিক থেকে যেমন যথেষ্ট আলো বাতাস আসে কিনা , স্কুল কলেজ ,বাজার হাসপাতাল কত দূরে , পাশের রাস্তা তা চওড়া না সরু । বাণিজ্যিক দিক থেকে সেই বাড়ি বা ফ্ল্যাট পরে বেচলে আদৌ বেশি মিলবে কিনা দু কামরার ফ্ল্যাট বদলে তিন কামরার ফ্ল্যাট কেনা যায় কিনা যেহেতু পরে তা বেচে তুলনায় বেশি দাম পাওয়ার সম্ভাবনা ।
বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনা আগে একই সঙ্গে আইনগত বা মালিকানা সংক্রান্ত দিক এবং কর সংক্রান্ত দিক ও ভালো করে খোঁজ নিতে হবে । বরং আইনি বিষয়েই সব থেকে বেশি গুরত্ব দেওয়া দরকার । দেখে নেওয়া উচিত ওই সম্পত্তিতে যেন আইনি খুঁত না থাকে । বড় নামি প্রকল্প গুলি সাধারণত ব্যাঙ্ক বা গৃহ ঋণ সংস্থা দ্বারা অনুমোদিত হয়ে থাকে । তবেই ফ্ল্যাট কিনতে ধার দেয় ব্যাঙ্ক গুলি । তাই এই ধরণের প্রকল্পে লগ্নি কিছুটা কম ঝুকির । তবে অনেক বেশি সজাগ এবং সতর্ক থাকতে হবে ছোট প্রকল্পে যেখানে একটিই বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে তেমন ফ্ল্যাট কেনার আগে । সম্পত্তি বিক্রেতা ,নির্মাতা এবং মালিক কারা ? যদি তিনটিই একজন হন তাহলে একরকম । তা না হলে এদের চুক্তির কপি শুরুতেই দেখে নিতে হবে । দেখতে হবে জমি ফ্রী হোলড কি না । জমি লিজ নেওয়া হলে তার মেয়াদ ভাল করে দেখে নিতে হবে । দেখতে হবে বিক্রেতার কাছে ওই জমি কি ভাবে এসেছে । কেনা , উত্তরাধিকার সুত্র ,বিভাজন ,বা দানপত্রের মাধ্যমে বিক্রেতা জমি পেতে পারেন । দলিল যাচাই করে দেখে নিতে হবে ।
সরকারের খাতায় জমিটি বিক্রেতার নামে নথি বদ্ধ আছে কিনা তা নিশ্চিন্ত হতে জমির পরচা যাচাই করতে হবে । সম্প্রতি দেওয়া খাজানার রশিদের কপি দেখে নিতে হবে । খাজনা বিক্রেতার নামেই জমা পড়েছে তা জানা জ্রুরি । জমির চরিত্র অর্থাৎ ওই জমি চাষ জমি , বাস্তু জমি , খাস জমি , কিনা তা দেখে নিতে হবে । জমি কেনা বেচার উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা খোজ নিতে হবে ।
বি এল আর ও দপ্তরে যথাযথ সার্চ করিয়ে জমি সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হতে হবে । আবার জমি নিয়ে কোন মামলা আছে কি জানতে কোর্ট সার্চ করানোও জরুরী । পাওয়ার অফ এটর্নির মাধ্যমে সম্পত্তি বিক্রি করা হলে তা রেজিস্টার্ড পাওয়ার হওয়া উচিত । সে ক্ষেত্রে আসল পাওয়ার অফ এটর্নি অবশ্যই দেখতে হবে ।
সম্পত্তি কেনার আগে তা বায়না করা হয় । ফ্ল্যাট বা বাড়ি সম্পর্কে যাবতীয় খোঁজখবর নিয়ে সন্ততুষট হলে তবে বায়না পত্রে সই করা উচিত । বায়না পত্রে সমস্ত শর্ত পড়ে নিতে হবে । কারন এইসব শর্তের ভিত্তিতেই পরে মুল দলিল তৈরি করা হয় । এছাড়া পুরসভা দ্বারা ও তাদের প্ল্যান অনুযায়ী বাড়ি বা ফ্ল্যাট তৈরি হচ্ছে কি না ? না হলে কমপ্লিশন সার্টিফিকেট পেতে সমস্যা হতে পারে । ভেঙ্গে ফেলতে হতে পারে বেআইনি অংশ । ভিত নিয়ম মেনে করা হচ্ছে কি না , ভুমিকম্প রোধক ব্যবস্থা আছে কি না ? দলিল সই করা এবং ফ্ল্যাট দখলে নেওয়ার পর সাধারণতঃ এক বছর পর্য ন্ত ফ্ল্যাটের কোন নির্মাণ গত ত্রুটি ধরা পড়লে তা বিনা খরচে সারিয়ে দেয় নির্মাতা । ফ্ল্যাটে যদি বসবাস না করেন তাহলেও ভাল করে দেখুন কোন নির্মাণ কালের ত্রুটি পরীক্ষা করে ।
সম্পত্তি কেনার সময় কর সংক্রান্ত বিষয় গুলি ভাল করে দেখে নেবেন । সেল ডিড নথিভুক্ত সময় সরকারের নির্ধারিত হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয় । শহরাঞ্চলে ২৫ লক্ষ টাকা বা তার কম দামের সম্পত্তির উপর স্ট্যাম্প ডিউটি ধার্য হয় ৬ শতাংশ হারে । তার বেশি হলে ৭ শতাংশ । তাছাড়া রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে ১-১ শতাংশ হারে । পঞ্চায়েত এলাকায় স্ট্যাম্প ডিউটি ৫ শতাংশ ।
মনে রাখতে হবে ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনলে তা শোধ না হওয়া পর্যন্ত ফ্ল্যাট বা বাড়ির দলিল জমা রাখে ব্যাংক । শোধ হলে তা একটি ডিড অফ রিলিজ করে ফেরত দিয়ে দেওয়া হয় । ঋণ নিয়ে বা জমা টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট বা বাড়ি কিনতে হলে কর্মজীবনের শুরুতে করা উচিত ।
যুগল কিশোর ঝা
...........................................................................
মাথার উপরে ছাদ তো বটেই । আবার দীর্ঘ মেয়াদি লগ্নির জন্য আদর্শ জায়গা হল রিয়েল ষ্টেট বা আবাসন শিল্প । কারো থাকার জায়গা নেই তিনি একটি ফ্ল্যাট কিনে অতি সহজে সমস্যা সমাধান করে ফেলতে পারেন । লগ্নি হিসাবে ফ্ল্যাট অপেক্ষা কৃত কম ঝুকি পূর্ণ তবে লাভ পেতে সময় লাগে । তবে লাভ হয় লগ্নি কৃত অঙ্কের বহুগুণ বেশি । সময় বদলেছে । আগে বুড়ো না হলে যেন বাড়ি কেনার কথা ভাবতেই পারতেন না কেউ । কর্মজীবনের একেবারে শেষ প্রান্তে পৌঁছে বাড়ি তৈরি কাজে হাত দেওয়ার সাহস পেতেন তারা । অনেকে আবার নামতেন অবসরের টাকা হাতে পাওয়ার পর । সারা জীবনের কষ্টের সঞ্চয় মাথার উপর ছাদ দাড় করাতে করাতেই শেষ হয়ে যেত । আর এখন ? কাজের জগতে প্রবেশের কয়েক বছরের মধ্যে ফ্ল্যাট বা বাড়ি কিনতে নেমে পড়েছে নতুন প্রজন্ম । আবার যাদের ক্ষমতা আছে তারা একখানা কিনেই ক্ষান্ত হচ্ছেন না । সময়ের সাথে সাথে বেতন বাড়লে দু কামরার ফ্ল্যাট ছেড়ে যাচ্ছেন তিন কামরায় । কেউ কিনছেন বাংলো । আবার অনেকে লগ্নী ফ্ল্যাট বা বাড়িতে টাকা ঢালছেন । প্রাথমিক লগ্নির পরিমাণ বড়সর ঠিকই । তবে সেটা অন্তরায় হয় না কারন বাঙ্কের ঋণ পাওয়া সহজ হয়ে গিয়েছে । বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায় । দীর্ঘ মেয়াদি মাসিক কিস্তি তে তা শোধ করা যায় । আবার ওদিকে বাঙ্কের সুদের উপর মেলে আয়কর ছাড় । শর্ত সাপেক্ষ বাৎসরিক ধার শোধ বাবদ ছাড় পাওয়া যায় ৮০সি ধারায় । আসল শোধের জন্য বছরে সর্বাধিক এক লক্ষ টাকা ছাড় মিলতে পারে । কর ছাড়ের সুবিধা মেলে সুদ শোধের ক্ষেত্রেও । ধারা ২৪ অনুযায়ী সুদ বাবদ বছরে সর্বাধিক দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের সুবিধা মিলতে পারে ।
তবে আসল বা সুদ উভয় ক্ষেত্রেই কর ছাড়ের সুবিধা পেতে কিছু শর্ত পুড়ন করতে হয় । তাই গৃহ ঋণ নেওয়ার সময় যাবতীয় শর্ত গুলি খুঁটিয়ে দেখা জরুরী । তাড়াতারি বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার অনেক সুবিধা ।
যারা ভাড়া বাড়িতে থাকেন ,তারা প্রতি মাসে মোটা টাকা ভাড়া দেওয়ার বদলে তা দিয়ে মাসিক কিস্তি মেটাতে পারেন । তার মাথার উপর ছাদ ও জুটল আবার নিজের নামে সম্পদ তৈরি হল । তাছাড়া সন্তান সন্ততি দের জন্যও আলাদা ফ্ল্যাট কিনে রাখছেন বাবা মায়েরা । লগ্নি জায়গা হিসাবে বাড়ি বা ফ্ল্যাট লাভজনক । পরে দাম বাড়লে সময় সুযোগ বুঝে বিক্রি করে দেওয়া যায় । আবার বিক্রি করার আগে পর্যন্ত সেখান থেকে ভাড়া মিলবে যা ই এম আই এর ভার অনেকখানি লাঘব করে দেবে ।
তবে বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনে গেলে অনেক আগে থেকে সঠিক পরিকল্পনা জরুরী । বহু বিষয় খুঁটিয়ে দেখা দরকার । না হলে পরে ঠকতে হবে । কারন বাড়ি ফ্ল্যাট দুপাঁচ দিনের জন্য কেনা হয় না । প্রাথমিক ভাবে তা কেনা হয় সারা জীবনের জন্য । এবং তাও বিপুল টাকা ঢেলে । মোবাইল এর মতো যখন ইচ্ছে বদলানোর সুযোগ নেই । তাই সম্পত্তি তে মোটা টাকা ঢালার আগে অনেক বিষয় দেখে নেওয়া জ্রুরি । বসবাসের সুবিধা দিক থেকে যেমন যথেষ্ট আলো বাতাস আসে কিনা , স্কুল কলেজ ,বাজার হাসপাতাল কত দূরে , পাশের রাস্তা তা চওড়া না সরু । বাণিজ্যিক দিক থেকে সেই বাড়ি বা ফ্ল্যাট পরে বেচলে আদৌ বেশি মিলবে কিনা দু কামরার ফ্ল্যাট বদলে তিন কামরার ফ্ল্যাট কেনা যায় কিনা যেহেতু পরে তা বেচে তুলনায় বেশি দাম পাওয়ার সম্ভাবনা ।
বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনা আগে একই সঙ্গে আইনগত বা মালিকানা সংক্রান্ত দিক এবং কর সংক্রান্ত দিক ও ভালো করে খোঁজ নিতে হবে । বরং আইনি বিষয়েই সব থেকে বেশি গুরত্ব দেওয়া দরকার । দেখে নেওয়া উচিত ওই সম্পত্তিতে যেন আইনি খুঁত না থাকে । বড় নামি প্রকল্প গুলি সাধারণত ব্যাঙ্ক বা গৃহ ঋণ সংস্থা দ্বারা অনুমোদিত হয়ে থাকে । তবেই ফ্ল্যাট কিনতে ধার দেয় ব্যাঙ্ক গুলি । তাই এই ধরণের প্রকল্পে লগ্নি কিছুটা কম ঝুকির । তবে অনেক বেশি সজাগ এবং সতর্ক থাকতে হবে ছোট প্রকল্পে যেখানে একটিই বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে তেমন ফ্ল্যাট কেনার আগে । সম্পত্তি বিক্রেতা ,নির্মাতা এবং মালিক কারা ? যদি তিনটিই একজন হন তাহলে একরকম । তা না হলে এদের চুক্তির কপি শুরুতেই দেখে নিতে হবে । দেখতে হবে জমি ফ্রী হোলড কি না । জমি লিজ নেওয়া হলে তার মেয়াদ ভাল করে দেখে নিতে হবে । দেখতে হবে বিক্রেতার কাছে ওই জমি কি ভাবে এসেছে । কেনা , উত্তরাধিকার সুত্র ,বিভাজন ,বা দানপত্রের মাধ্যমে বিক্রেতা জমি পেতে পারেন । দলিল যাচাই করে দেখে নিতে হবে ।
সরকারের খাতায় জমিটি বিক্রেতার নামে নথি বদ্ধ আছে কিনা তা নিশ্চিন্ত হতে জমির পরচা যাচাই করতে হবে । সম্প্রতি দেওয়া খাজানার রশিদের কপি দেখে নিতে হবে । খাজনা বিক্রেতার নামেই জমা পড়েছে তা জানা জ্রুরি । জমির চরিত্র অর্থাৎ ওই জমি চাষ জমি , বাস্তু জমি , খাস জমি , কিনা তা দেখে নিতে হবে । জমি কেনা বেচার উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা খোজ নিতে হবে ।
বি এল আর ও দপ্তরে যথাযথ সার্চ করিয়ে জমি সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হতে হবে । আবার জমি নিয়ে কোন মামলা আছে কি জানতে কোর্ট সার্চ করানোও জরুরী । পাওয়ার অফ এটর্নির মাধ্যমে সম্পত্তি বিক্রি করা হলে তা রেজিস্টার্ড পাওয়ার হওয়া উচিত । সে ক্ষেত্রে আসল পাওয়ার অফ এটর্নি অবশ্যই দেখতে হবে ।
সম্পত্তি কেনার আগে তা বায়না করা হয় । ফ্ল্যাট বা বাড়ি সম্পর্কে যাবতীয় খোঁজখবর নিয়ে সন্ততুষট হলে তবে বায়না পত্রে সই করা উচিত । বায়না পত্রে সমস্ত শর্ত পড়ে নিতে হবে । কারন এইসব শর্তের ভিত্তিতেই পরে মুল দলিল তৈরি করা হয় । এছাড়া পুরসভা দ্বারা ও তাদের প্ল্যান অনুযায়ী বাড়ি বা ফ্ল্যাট তৈরি হচ্ছে কি না ? না হলে কমপ্লিশন সার্টিফিকেট পেতে সমস্যা হতে পারে । ভেঙ্গে ফেলতে হতে পারে বেআইনি অংশ । ভিত নিয়ম মেনে করা হচ্ছে কি না , ভুমিকম্প রোধক ব্যবস্থা আছে কি না ? দলিল সই করা এবং ফ্ল্যাট দখলে নেওয়ার পর সাধারণতঃ এক বছর পর্য ন্ত ফ্ল্যাটের কোন নির্মাণ গত ত্রুটি ধরা পড়লে তা বিনা খরচে সারিয়ে দেয় নির্মাতা । ফ্ল্যাটে যদি বসবাস না করেন তাহলেও ভাল করে দেখুন কোন নির্মাণ কালের ত্রুটি পরীক্ষা করে ।
সম্পত্তি কেনার সময় কর সংক্রান্ত বিষয় গুলি ভাল করে দেখে নেবেন । সেল ডিড নথিভুক্ত সময় সরকারের নির্ধারিত হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয় । শহরাঞ্চলে ২৫ লক্ষ টাকা বা তার কম দামের সম্পত্তির উপর স্ট্যাম্প ডিউটি ধার্য হয় ৬ শতাংশ হারে । তার বেশি হলে ৭ শতাংশ । তাছাড়া রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে ১-১ শতাংশ হারে । পঞ্চায়েত এলাকায় স্ট্যাম্প ডিউটি ৫ শতাংশ ।
মনে রাখতে হবে ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনলে তা শোধ না হওয়া পর্যন্ত ফ্ল্যাট বা বাড়ির দলিল জমা রাখে ব্যাংক । শোধ হলে তা একটি ডিড অফ রিলিজ করে ফেরত দিয়ে দেওয়া হয় । ঋণ নিয়ে বা জমা টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট বা বাড়ি কিনতে হলে কর্মজীবনের শুরুতে করা উচিত ।
যুগল কিশোর ঝা
Wednesday, 27 January 2016
Berners-Lee creates the world's website
Tim Berners Lee {1955} knows a lot about changing the world . There was a time when his web page were the only pages on the world wide web .Born to parents who had met while developing one of the earliest computers, Berners Lee studied for a physics degree from Queen College ,Oxford, then headed straight for the Berners industry.By 1989 he was working in Geneva, Switzerland ,at CERN,the European particle physics laboratory. CERN was interested in finding a way by which groups of researchers could share information more easily .Berners Lee saw the potential for marrying hypertext a technique for liking documents together using click words --with the internet which was already heavly used by CERN working with colleague Robert Cailliau ,he propsed a system he called the world wide web .
The first web server was up and runing by the end of 1990 .At the time ,Berners Lees "NeXT" computer did not have a color display ,and the earliest web pages were simple black and white text . Now less than twenty years latter , there are more than a hundred million websites on the world wide web . The web certainly continues to help people in their physics ,research ,but it also help them to do their shoping,listen to music read their morning newspapers and get back in touch with old friends.
Berners Lee who without doubt picked the right piece of the world to change ,is now Sir Timothy Berners Lee , Director of the world wide web Consortium , Senior Researcher at the Massachusetts institute of Technology {MIT] and professor of Computer Science at the University of Southampton.
The significance of his work in shaping the the early twenty first century is beyond calculation .
The first web server was up and runing by the end of 1990 .At the time ,Berners Lees "NeXT" computer did not have a color display ,and the earliest web pages were simple black and white text . Now less than twenty years latter , there are more than a hundred million websites on the world wide web . The web certainly continues to help people in their physics ,research ,but it also help them to do their shoping,listen to music read their morning newspapers and get back in touch with old friends.
Berners Lee who without doubt picked the right piece of the world to change ,is now Sir Timothy Berners Lee , Director of the world wide web Consortium , Senior Researcher at the Massachusetts institute of Technology {MIT] and professor of Computer Science at the University of Southampton.
The significance of his work in shaping the the early twenty first century is beyond calculation .
Wednesday, 13 January 2016
পছন্দের বাড়ি কেনার আগে
ফ্লাট বাড়ি কেনার আগে জানুন /
১ কাছাকাছি ডাক্তার খানা ,হাসপাতাল , ঔষধের দোকান থাকা জরুরি ।বিশেসতঃ বাড়িতে বৃদ্ধ বৃদ্ধা মানুষ থাকেন ।
২ যোগাযোগ ব্যবস্থা , বাস অটো ,ট্রেন ,কি আছে ?
৩ কাজের জায়গা থেকে অনেক দূরে না কেনাই ভালো । সে ক্ষেত্রে যেতে আসতে অর্ধেক শক্তি শেষ । সময়ের অপচয় ।
৪ বর্ষার জল জমে কিনা । আশেপাশে পরিবেশ কেমন ।
৫ একেবারে নিচের তলার ফ্লাটে নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন অনেকে । তেমন হলে দোতলা বা তিনতলা বেশ ভাল । আবার বেশি উচুতে কিনলে লিফট না থাকলে বিপত্তি ।
৬ দেখে নিন লিফট আছে কিনা । গ্যারাজ ,জেনেরা টর , নিরাপত্তা রক্ষী ইত্যাদি আজ কাল জরুরী বলে মনে করেন অনেকে । এর জন্য খরচ বাড়বে ।
৭ প্রতিবেশী কেমন ? এমন নয় সব সময় সবটাই মনের মত পাওয়া যাবে । কিন্তু কথায় কথায় কার্গিল লড়াই না বাধাই ভাল ।
৮ ফ্লাট তৈরি তে ঠিক কি ধরনের কাঁচামাল ব্যবহার করেছেন পরমটার । তা ঠিক ক্রমাগত সারাই করতে করতে জীবন যাবে আপনার ।
খুব সাবধান ঃ
৯ বাড়ি কেনা মানে তা সারা জীবনের লগ্নি । এক্ষেত্রে অনেকগুলি মনে রাখা জরুরি তার মধ্যে নিম্ন বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে ।
১০ দেখুন জমি এবং বাড়ির টাইটেল ডিড আছে কিনা । শুধু এন ও সি যথেষ্ট নয় । যাচাই প্রমতারের অতীত রেকর্ড ও সুনাম ।
১১ কোর্ট সার্চ করাতে ভুলবেন না । জমি নিয়ে কোন আইনি জটিলতা রয়েছে কিনা তা দেখে নেওয়া জরুরি ।
১২ পুর সভার অনুমোদিত নকশা বিলদারের আছে কিনা ?
১৩ জানতে হবে প্রকল্পে কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ দিয়েছে । কারন তারা প্রকল্পের সমস্ত কিছুর কাগজ পত্র তারা খুঁটিয়ে দেখে । নামি সংস্থা যুক্ত অনেকটাই নিশ্চিন্ত ।
১৪ শুধু বাড়ির ঋণ নয় , হিসেব করুন তার সঙ্গে কর ,রেজিস্ট্রেশন খরচ ,মিউটেশন ,ইত্যাদি মিলিয়ে মোট কত পড়বে । তা ছাড়া রং করা ,রান্না ঘর সাজানো , গ্রিল লাগানো ,ইত্যাদির খরচ আছে ।
১৫ গোড়াতে ঠিক করুন কি ভাবে বাড়ির দাম মেটানো সব থেকে সুবিধাজনক । কত টাকা ডা উন পেমেন্ট করতে পারবেন ? আর ঋণ নেবেন কত ?
১৬ সুপার বি লদ এরিয়া কতটা পাচ্ছেন ? সত্যি কারে কার্পেট এরিয়া আপনি পাচ্ছেন । তার উপর হিসাব করুন । তার পর বর্গ ফুটের হিসাব করুন ।
১৭ ফ্লাট তৈরির সময় বারবার ঢু মারুন সেখানে । শুধু অন্যের কথায় বিশ্বাস করবেন না ।
১৮ বাড়ি কেনার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রেজিস্ট্রেশন সেরে নিন ।
১৯ ১৮ লক্ষের ফ্লাটে ডা উন পেমেন্ট করতে হবে প্রায় ৩ লক্ষ ৬ হাজার ।
DURGAPUR SMART CITY
১ কাছাকাছি ডাক্তার খানা ,হাসপাতাল , ঔষধের দোকান থাকা জরুরি ।বিশেসতঃ বাড়িতে বৃদ্ধ বৃদ্ধা মানুষ থাকেন ।
২ যোগাযোগ ব্যবস্থা , বাস অটো ,ট্রেন ,কি আছে ?
৩ কাজের জায়গা থেকে অনেক দূরে না কেনাই ভালো । সে ক্ষেত্রে যেতে আসতে অর্ধেক শক্তি শেষ । সময়ের অপচয় ।
৪ বর্ষার জল জমে কিনা । আশেপাশে পরিবেশ কেমন ।
৫ একেবারে নিচের তলার ফ্লাটে নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন অনেকে । তেমন হলে দোতলা বা তিনতলা বেশ ভাল । আবার বেশি উচুতে কিনলে লিফট না থাকলে বিপত্তি ।
৬ দেখে নিন লিফট আছে কিনা । গ্যারাজ ,জেনেরা টর , নিরাপত্তা রক্ষী ইত্যাদি আজ কাল জরুরী বলে মনে করেন অনেকে । এর জন্য খরচ বাড়বে ।
৭ প্রতিবেশী কেমন ? এমন নয় সব সময় সবটাই মনের মত পাওয়া যাবে । কিন্তু কথায় কথায় কার্গিল লড়াই না বাধাই ভাল ।
৮ ফ্লাট তৈরি তে ঠিক কি ধরনের কাঁচামাল ব্যবহার করেছেন পরমটার । তা ঠিক ক্রমাগত সারাই করতে করতে জীবন যাবে আপনার ।
খুব সাবধান ঃ
৯ বাড়ি কেনা মানে তা সারা জীবনের লগ্নি । এক্ষেত্রে অনেকগুলি মনে রাখা জরুরি তার মধ্যে নিম্ন বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে ।
১০ দেখুন জমি এবং বাড়ির টাইটেল ডিড আছে কিনা । শুধু এন ও সি যথেষ্ট নয় । যাচাই প্রমতারের অতীত রেকর্ড ও সুনাম ।
১১ কোর্ট সার্চ করাতে ভুলবেন না । জমি নিয়ে কোন আইনি জটিলতা রয়েছে কিনা তা দেখে নেওয়া জরুরি ।
১২ পুর সভার অনুমোদিত নকশা বিলদারের আছে কিনা ?
১৩ জানতে হবে প্রকল্পে কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ দিয়েছে । কারন তারা প্রকল্পের সমস্ত কিছুর কাগজ পত্র তারা খুঁটিয়ে দেখে । নামি সংস্থা যুক্ত অনেকটাই নিশ্চিন্ত ।
১৪ শুধু বাড়ির ঋণ নয় , হিসেব করুন তার সঙ্গে কর ,রেজিস্ট্রেশন খরচ ,মিউটেশন ,ইত্যাদি মিলিয়ে মোট কত পড়বে । তা ছাড়া রং করা ,রান্না ঘর সাজানো , গ্রিল লাগানো ,ইত্যাদির খরচ আছে ।
১৫ গোড়াতে ঠিক করুন কি ভাবে বাড়ির দাম মেটানো সব থেকে সুবিধাজনক । কত টাকা ডা উন পেমেন্ট করতে পারবেন ? আর ঋণ নেবেন কত ?
১৬ সুপার বি লদ এরিয়া কতটা পাচ্ছেন ? সত্যি কারে কার্পেট এরিয়া আপনি পাচ্ছেন । তার উপর হিসাব করুন । তার পর বর্গ ফুটের হিসাব করুন ।
১৭ ফ্লাট তৈরির সময় বারবার ঢু মারুন সেখানে । শুধু অন্যের কথায় বিশ্বাস করবেন না ।
১৮ বাড়ি কেনার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রেজিস্ট্রেশন সেরে নিন ।
১৯ ১৮ লক্ষের ফ্লাটে ডা উন পেমেন্ট করতে হবে প্রায় ৩ লক্ষ ৬ হাজার ।
Subscribe to:
Posts (Atom)